মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন
কুয়াকাটা প্রতিনিধি॥ কুয়াকাটায় সরকার ঘোষিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে এসে ইউএনও তোপের মুখে পড়েছে। এসময় পুলিশের সাথে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইউএনও গাড়িসহ অবরুদ্ধ হয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজনের সাথে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়।
সোমবার রাত পৌনে আটটার দিকে শুরু হওয়া এ ঘটনায় ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশপাশি মহিপুর থানার ওসির নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
এদিকে পুলিশী সহায়তায় অবরুদ্ধ ইউএনও কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের অফিসে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন বলে ইউএনও দাবি করেছেন। উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পুলিশের সাথে কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার এবং কুয়াকাটা প্রেসক্লাব সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব জনসাধারণকে হ্যান্ডমাইকে নিভৃত করার চেষ্টা চালান। পরে রাত ৯টার দিকে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক সরকার ঘোষিত কঠোর নির্দেশনা বাস্তবায়নে ব্যবসায়ী এবং পথচারীদের ঘরে ফেরার তাগিদ দেন।
এসময় কুয়াকাটা চৌরাস্তায় একটি পত্রিকার স্টিকার লাগানো মোটর সাইকেলযোগে ইলিয়াস নামে এক যুবককে থামিয়ে তার পরিচয় জানতে চায় ইউএনও। একই সাথে সম্প্রতি ইয়াবাসহ ইলিয়াসকে আটকের বিষয়টি ইউএনও উল্লেখ করলে ওই যুবক উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এরপর ইলিয়াসকে ইউএনও মারধর করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের ছবি তোলা পেশায় নিয়োজিত প্রায় দুইশত ফটোগ্রাফার ও স্থানীয় জনতা চৌরাস্তায় এসে বিক্ষোভ ও পুলিশকে ধাওয়া করে। পরে ইলিয়াসকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ইলিয়াস শেখ কুয়াকাটা সৈকতে ফটোগ্রাফারদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বলে জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে ইলিয়াস শেখ বলেন, “কুয়াকাটা চৌরাস্তায় এলে ইউএনও আমার মোটরবাইক থামিয়ে পরিচয় জানতে চাওয়া মাত্রই আমাকে মারধর শুরু করেন।”
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান সংঘর্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তেজিত লোকজনকে ঘরে ফেরার অনুরোধ জানালে তারা ফিরে যায়। বর্তমানে স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে।
ইউএনও আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল হক বলেন, “চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার কর্তৃক কঠোর নিষেজ্ঞার জনসচেতনতার প্রচার প্রচারণা করতে ইলিয়াস শেখ বাধা প্রদান করেন। এরপর আমাকে লাঞ্চিত করে গাড়িসহ অবরুদ্ধ করা রাখে। পরে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করা হয়।”
Leave a Reply